প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আব্দুল হাকিম বলেছেন, সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের ফোর্থ পিলার বলা হয়, এই বিশেষণকে অটুট রাখতে হলে, সাংবাদিকদের নীতিনৈতিকতা মেনে চলতে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সাংবাদিক সেই নীতিনৈতিকতা মানলেও, গুটি কয়েক অপসাংবাদিকের কারণে আমাদের অর্জন ভেস্তে যাচ্ছে। এটা কিসের কারণে রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে। আপনি রাজনীতি করেন, করবেন না কেন অবশ্যই করবেন। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত হয়েন না। আর সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যাতা, ডাটাবেজ ও সার্টিফিকেশন অবশ্যই জরুরি। এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এটা হলে আর ভূঁইফোড় ও অপ-সাংবাদিকতা বলতে পারবে না। আপনার যখন সাংবাদিক সংস্থা থেকে সনদ পাবেন, সাংবাদিক সংস্থায় যারা অন্তর্ভুক্ত তাদেরকেই সাংবাদিক বলে বিবেচনা করা হবে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত অপ-সংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সব থেকে জরুরি হচ্ছে সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন। এটা আশা করি হয়ে যাবে।
দিনব্যাপী কর্মশালায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (উপ-সচিব) মোঃ আব্দুস সবুর, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এবিএম মোশাররফ হোসাইন, সহ-সভাপতি এসএম রাজ, সাধারণ সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম, উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, গণমাধ্যম একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অপ-সংবাদিকতা রোধে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় বাগেরহাটে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহন করেন। কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আব্দুল হাকিম।
খুলনা গেজেট/এমএনএস